রাঙামাটিতে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ পরিবার পেল ক্ষতিপূরণ

রাঙামাটিতে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ পরিবার পেল ক্ষতিপূরণ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিল পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক বিতরণ করেন পার্বত্য

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আবদুস ছালেক প্রধান। এসময় ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের
বিভাগীয় কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবীর, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের পাবলাখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ
মো. ইয়াকুব আলী উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে তান্ডব চালায় বন্যহাতির
পাল।

এসময় অনেক মানুষের বাড়ি-ঘরসহ জান মালের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে ক্ষতি পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। চিহ্নিত ক্ষগ্রিস্ত এলাকাগুলো হলো- রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন পাবলাখালী রেঞ্জের লংগদু উপজেলার ভাসান্যা আদম ইউনিয়ন, বগাচত্বর ইউনিয়ন ও গুলশাখালী ইউনিয়ন। এসব এলাকায় বন্য হাতির আক্রমনে নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতি পূরণ হিসেবে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আবদুস ছালেক প্রধান বলেন, মানুষের বসতির
কারণে পার্বত্যাঞ্চলে হাতির অভয় অরণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই নষ্ট হচ্ছে হাতির খাদ্য ভান্ডারও। যার কারণে হাতিগুলো প্রায় সময় লোকালয়ে চলে আসে। আর মানুষের বসতির উপর তান্ডব চালায়।

তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য রক্ষ্য করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মানুষ আর হাতির দণ্ড রোধ করতে হলে, মানুষকে অবশ্যই হাতির অভয় অরণ্য রক্ষা করতে হবে। বন উজার বন্ধ করতে হবে। হাতির চলাচল রাস্তায় বসতি গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসময় তিনি বন্য প্রাণী রক্ষা ও মানুষের জান মাল রক্ষাতে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর