১০টি ক্ষেপণাস্ত্রকে নিশানা করে ৭টি ধ্বংস করতে সক্ষম রাশিয়ার এস-৫০০

১০টি ক্ষেপণাস্ত্রকে নিশানা করে ৭টি ধ্বংস করতে সক্ষম রাশিয়ার এস-৫০০

অনলাইন ডেস্ক

মহাকাশে থাকা উপগ্রহকে ধ্বংস করতে পারে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন। মহাকাশে নিজের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে ভারতও। অর্থাৎ, কোনও উন্মাদ দেশ বা গোষ্ঠী যদি উপগ্রহ পাঠিয়ে ক্ষতি করতে চায়, তবে ভারত মাটি থেকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তিন মিনিটের মধ্যে তা গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

মহাকাশে নিজেদের সক্ষমতার ব্যাপারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া।

এবার নিজেদের মিসাইল-ভান্ডারে অত্যধুনিক এস-৫০০ মিসাইল যোগ করল মস্কো। মহাকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম প্রজন্মের অস্ত্র হলো এস-৫০০ মিসাইল।

ভবিষ্যতে মহাকাশ অস্ত্র এবং পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে থাকা উপগ্রহকেও ধ্বংস করতে পারবে এটি। সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন রুশ কর্নেল-জেনারেল সার্জেই সুরোভিকিন।

এস-৫০০ প্রযুক্তির এই মিসাইলের নাম দেওয়া হয়েছে প্রমিথিউস। শুধু কক্ষপথে থাকা কোনও উপগ্রহই নয়, অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল ধ্বংস করতেও সক্ষম এই এস ৫০০ প্রযুক্তির প্রমিথিউস।

এস-৫০০ (S-500 Missile) ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৭০ মাইলের বেশি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাতে সক্ষম। সেকেন্ডে ৭ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এই মিসাইলের সামনে টিকবে না কোনও স্টেলথ যুদ্ধবিমান। শক্তিশালী র‌্যাডারের কারণে আকাশের প্রতিটি বস্তুই চিহ্নিত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।

শুধু তাই নয়, একসঙ্গে ১০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে নিশানা করতে এবং তারমধ্যে ৭টিকে এক আঘাতেই ধ্বংস করতে সক্ষম এই এস-৫০০ মিসাইল। ২০১৪ সালে এর কাজ শুরু করেছিল রাশিয়া। ২০২০ সালে প্রাথমিক পরীক্ষার পর ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাবে মস্কো।

২০১৯-এর শেষে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, বিশ্বে হাইপারসোনিক অস্ত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রাশিয়াই।

মস্কো সূত্রে দাবি, ভবিষ্যতে এস-৫০০ মিসাইল তারা অন্য কাউকে বিক্রি করবে না। এটি শুধুমাত্র রাশিয়ান সেনাবাহিনীই ব্যবহার করতে পারবে। প্রসঙ্গত, এর আগে এস-৪০০ মিসাইল ভারত ও চিনকে বিক্রি করেছে মস্কো।

মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতিতে বিশ্বের অনেক দেশের থেকে এগিয়ে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক কদম এগিয়ে পৃথক মহাকাশ সেনা বা স্পেশ ফোর্স গড়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনও একই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বরাদ্দ কমতে কমতে শেষে ১৯৯৩-এ বন্ধ হয়ে যায় রেগনের সাধের প্রকল্প। তবে এখনও পর্যন্ত NASA ও অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় মার্কিন বায়ুসেনাই মহাকাশ প্রতিরক্ষার বিষয়টি দেখভাল করছে।

সাতের দশকে টিভির পর্দায় এসেছিল স্টার ট্রেক/ওয়ার্স সিরিজ। যার দৌলতে মহাকাশে লেজার যুদ্ধ, গ্রহতারা বা মহাকাশযান ধ্বংস করা এবং রশ্মি-তরোয়াল নিয়ে লড়াইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল গোটা বিশ্বই। কিছুটা একই পথে হেঁটেই মহাকাশে যুদ্ধের অনেক রকম সম্ভাব্য পথ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা শুরু হয়। যা একাধিক দশক পরও আলোচ্য বিষয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর