রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়া গ্রামে দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে জুয়েল মিয়া তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মুন্নির হাত-পা বেঁধে ৬ জুলাই অমানবিক নির্যাতন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই জুয়েলসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পীরগঞ্জের কাজীরপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়ার সঙ্গে রংপুর সিটি'র ধর্মদাস মিলনপাড়ার নুরুন্নাহার বেগম মুন্নির ১০ বছর আগে বিয়ে হয়।
তাদের একটি ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর জুয়েলকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দিলেও আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে মুন্নিকে প্রায়ই মারধর করে।মুন্নির পরিবার টাকা দিতে না পারায় তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় নির্যাতন করত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় মুন্নির স্বামী, ননদ, ভাসুর, চাচি শাশুড়িসহ কয়েকজন তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে বাড়িতেই ফেলে রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে মুন্নির স্বজন ও এলাকাবাসী পুলিশের সহযোগিতা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যত চিকিৎসক ডা. সামিনা জানান, মুন্নির সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাসুমুর রহমান নির্যাতন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে এস আই সুশীল রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল