চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বেদানা ফলের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মোকাররম হোসেন নামে এক যুবক। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় জেলার অনেক তরুণ যুবকেরাই এখন ঝুঁকছে সুস্বাদু ও ওষুধী গুণ সম্পন্ন বিদেশি ফল বেদানা চাষে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও দেয়া হচ্ছে নানান প্রতিশ্রুতিও।  

কেউ বলেন আনার, কেউ বেদানা, আবার অনেক অঞ্চলে ফলটিকে বলা হয় ডালিম।

অত্যন্ত সুস্বাদু ও ওষধি গুণ সম্পন্ন এ ফল এতোদিন বিদেশী ফল হিসেবেই পরিচিত ছিলো। কিন্তু দেশের মাটিতেই এ ফলের সফল চাষ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার এক উদ্যোগী তরুণ মোকাররম হোসেনের হাত ধরেই আনার চাষে সাফল্য আসে।

চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মোকাররম হোসেনেন জানান দু’বছর আগে ভারত থেকে পাঁচ বিঘা জমিতে ৮শ আনারের চারা রোপণ করেন।

তা থেকে চলতি বছর এসব গাছে বাম্পার ফলন আসে। পরিপূর্ণ ফলন হলে বছরে বিঘাপ্রতি পাঁচ লাখ টাকা লাভের আশা তার।

ভারতের কৃষি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সয়েল চার্জার টেকনোলজির সাথে যৌথ ভাবে এ চাষ করছেন চুয়াডাঙ্গার মোকাররম হোসেনের গ্রীণভিসতা সয়েলটেক অ্যান্ড এগ্রো ফার্ম। সয়েল চার্জার টেকনোলজি’র সিনিয়র কনসালটেন্ট হার্সাল মুকেকার সার্বক্ষণিক এ আনার বাগানের দেখ ভাল করেন।

দেশের মাটিতে প্রথম আনার চাষ এটিই জানিয়ে সার্বক্ষণিক চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোকতা পেলে দেশে আনার চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে, অভিমত সংশ্লিষ্টদের।  

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ