তুরস্কের হায়া সোফিয়া আবারো মসজিদে রূপান্তরিত করার রায়

অনলাইন ডেস্ক

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা তুরস্কের স্থাপনা হায়া সোফিয়া আবারো মসজিদে রূপান্তরিত করার পক্ষে রায় দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত। এই সিদ্ধান্তের পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এটিকে মসজিদে পরিণত করার আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে স্থাপনাটির মসজিদে পরিণত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো। তবে দেশটির অনেক বাসিন্দা এই পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এছাড়া বিশ্বের নানা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারাও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।  

হায়া সোফিয়া নির্মিত হয়েছিল ষষ্ঠ শতাব্দীতে। তৎকালীন বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে এটি নির্মিত। প্রায় এক হাজার বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা।

পরে ১৪৫৩ সালে যখন ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে চলে যায়, তখন একে পরিণত করা হয় মসজিদে। ১৯৩০ সালে এটি পরিণত হয় জাদুঘরে। তখন থেকে সব ধর্মের অনুসারীদের জন্য হায়া সাফিয়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে তা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হয়ে ওঠে।

তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এটিকে আবারও মসজিদ হিসেবে ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন। হায়া সোফিয়া আবারো মসজিদে রূপান্তরিত করা হবে কিনা, তা নিয়ে কিছুদিনের সিদ্ধান্তহীনতা পর শুক্রবার তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত নিষ্পত্তি চুক্তি অনুযায়ী এটাকে মসজিদ রুপান্তরের পক্ষে রায় দেয়। আর এর পরই প্রেসিডেন্টে নির্দেশ অনুয়ায়ী আগামী ১৫ জুলাই থেকে সকল মুসলিম এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।  

কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলীয় সাংসদরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের দিক থেকে হায়া সোফিয়াকে আবার মসজিদে পরিণত করার সমালোচনা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত বড় পরিসরে বিভাজন তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ