পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১০ দল মাঠে

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১০ দল মাঠে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে যেন বৃষ্টি থামছেই না। অবিরাম বৃষ্টি। কখনো ভারি, কখনো মাঝারি, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। তাতে বেড়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।

তাই উৎকণ্ঠায় পাহাড়বাসীরা। ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদ স্থানে সড়ে যেতে জেলা প্রশাসনের সতর্কতামূলক মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রও। কিন্তু তার পরও পাহাড় ছাড়তে নারাজ পাহাড়বাসীরা।
মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এখনো পাহাড় পাদদেশে বসবাস করছে দেড় লাখেরও অধিক মানুষ। তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে মাঠে নেমেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১০টি দল।

অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে সক্রিয় মৌসূমি বায়ু অব্যাহত থাকার কারণে এ বৃষ্টি চলমান থাকবে।

রোববার সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি, রির্জাভ, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, শহীদ আবদুুল আলী একাডেমী সংলগ্ন ঢাল, পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঢাল, স্বর্ণটিলা পাহাড়ের ঢাল, রাজমণিপাড়া পাহাড়ের ঢাল, রেডিও স্টেশনের পাশে শিমুলতলী পাহাড়ের ঢাল, লোকনাথ মন্দির পাহাড়ের ঢাল, আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, চম্পক নগর পাহাড়ের ঢাল, পাবলিক হেলথ পাহাড়ের ঢাল, আমানতবাগ পাহাড়ের ঢাল, মুজিবনগর পাহাড়ের ঢাল এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস রতদের নিরাপদ স্থানে সড়ে যেতে করা হচ্ছে মাইকিং। একই সাথে এলাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষকে সর্তক করতে কাজ করছে রাঙামাটি পৌরসবার ওয়ার্ড কাউন্সিলরা।

এদিকে আবহাওযা অফিস গত এক সপ্তাহ ধরে রাঙামাটিতে সবার্চ্চ বৃষ্টি রেকড করেছে ৫৮ মিলিমিটার।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, সক্রিয় মৌসূমী বায়ু অব্যাহত থাকার কারণে রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাত অব্যাত থাকবে। শক্রবার থেকে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ মিলি মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্রে নিন্মচাপের কারণে ঝড় হওয়াও বয়ে যেতে পারে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, বর্ষার আগেই পাহাড়ের ঝুঁকিপূণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সাথে ঝুঁকিপূণ বসতিগুলোর মানুষকে বৃষ্টি দেখলে আশ্রয় কেন্দ্রে যেত বলা হয়েছে। তাদের জন্য মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমম্বয়ে গঠিত ১০টি দল।

একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ে ধসে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর