আদালতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে যা বললেন ডা. সাবরিনা!

আদালতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে যা বললেন ডা. সাবরিনা!

অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: পুলিশ কার্যলয়ে ডা.সাবরিনার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

শুনানি চলাকালে বিচারকের উদ্দেশ্য কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডা. সাবরিনা বলেন, ‘জেকেজির চেয়ারম্যান আমাকে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি জেকেজির চেয়ারম্যান না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

আমি নির্দোষ। ’

আজ (সোমবার) তাকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানা করা প্রতারণার মামলায় চারদিনের রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি চলাকালে ড. সাবরিনাকে কান্না করতে দেখা যায়।

আদালতের ভেতরে তিনি অস্থির ছিলেন। তার পক্ষে এক আইনজীবী মৌখিকভাবে জামিন চান। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: ডা. সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

গতকাল (রোববার) দুপুরে এই আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সম্প্রতি সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল। এ অভিযোগে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পাশাপাশি গত ২২ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের সাবেক গ্রাফিকস ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারি: ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার

পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সাবরিনা জানান, জেকেজির সাত-আট কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল