ঈদের নামাজ মসজিদে, মানতে হবে ১৩ শর্ত

ঈদের নামাজ মসজিদে, মানতে হবে ১৩ শর্ত

অনলাইন ডেস্ক

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়সহ ১৩ দফা শর্ত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ শর্ত প্রকাশ করা হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আলেম-ওলামাদের মতামতের ভিত্তিতে এসব শর্ত দেয়া হয়।

১৩ দফা শর্তের মধ্যে রয়েছে, প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা; মসজিদে কার্পে বিছানো যাবে না।

নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; করোনা ভসংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে; মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।  

আরও শর্ত হচ্ছে- মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে; শিশু, বৃদ্ধ, যে কোন ধরণের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন না; সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনা সংক্রমণ রোধ কল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে; করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত এবং পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শর্তে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর