প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ দেশ পালাউ

প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ দেশ পালাউ

অনলাইন ডেস্ক

ছবির মতই সুন্দর ছোট দ্বীপদেশ পালাউ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর স্বতন্ত্র সংস্কৃতির কারণে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয় এই দেশটি। ফিলিপাইনের খুব কাছে অবস্থিত দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৪ হাজার।

স্বচ্ছ নীল জলরাশির মাঝে সবুজের সমারোহ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই দেশটিতে গেলেই মনে হবে প্রকৃতিতেই যেন হারিয়ে যাই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর অবস্থান। ছোট-বড় অন্তত ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত পালাউ পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি। যার আয়তন মাত্র ৪৬৬ বর্গকিলোমিটার।

ছড়ানো ছিটানো দ্বীপগুলোতে বাস করেন প্রায় ২৪ হাজার মানুষ। যারা কথা বলেন পালাউ আর ইংরেজিতে। রাজধানী এনগেরুলমুদ। নিজস্ব স্বকীয়তা আর সংস্কৃতির কারণে বিশ্বের ভ্রমণকারীদের কাছে পালাউয়ের আলাদা একটি অবস্থান রয়েছে।

রেইনফরেস্ট, ভিন্নধর্মী গাছপালা, নানা প্রজাতির পাখি ও স্বচ্ছ নীল জলের সমন্বয়ে ছবির মত সুন্দর দেশ পালাউ। এর উপকূলে প্রায় ১৩০ প্রজাতির হাঙর পাওয়া যায়। এখানেই রয়েছে বিশেষ একটি হ্রদ যেখানে ভেসে বেড়ায় লাখ লাখ জেলিফিশ। এসব সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণেও ভীষণ সচেতন দেশটি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দীর্ঘদিন মার্কিন শাসনাধীন ছিল এই দ্বীপদেশ। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা পায় দেশটি।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছরই লাখো পর্যটকরা ঘুরতে আসেন পালাউয়ে। পালাউয়ের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে পর্যটন। কৃষিকাজ এবং মাছ ধরেও জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকেই। ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ পালাউয়ের অধিবাসীর ২ হাজারই বাংলাদেশি। নৌ-পথে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সময় অনেকেই ভুলে পালাউয়ে নেমে পড়েন। ফিরে আসার উপায় না থাকায় সেখানেই আটকা পড়েন তারা।

পালাউয়ে থাকা বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ সুপারি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। অনেকে আবার যুক্ত সার্ফিংয়ের সঙ্গে। টিম এফসি বাংলাদেশ নামে একটি ফুটবল দলও রয়েছে দেশটিতে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ