ভাতিজিকে ধর্ষণ, জেল থেকে বেড়িয়েই চাচার মোটর শোভাযাত্রা!

ভাতিজিকে ধর্ষণ, জেল থেকে বেড়িয়েই চাচার মোটর শোভাযাত্রা!

অনলাইন ডেস্ক

আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তি জামিনে বেড়িয়েছে। গত শুক্রবার ছাড়া পাওয়ার পর তাকে ফুলের মালা পরে এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঘটনা এটি। অভিযুক্ত সোহেল নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের হেসিয়ারা পূর্বপাড়ার আবদুল মান্নানের ছেলে।

 

এদিকে আসামি গ্রেপ্তারের পর আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী কন্যা সন্তান প্রসব করে। এর আগে গত (১৪ জুন) ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় আপন ভাই সোহেলের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এর পরদিন (১৫ জুন) ভাতিজিকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ধর্ষিতা কিশোরীর মা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যান।

চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওই ক্লিনিকে ৫/৬ দিন অবস্থান করেন। এ সুযোগে বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীর চাচা সোহেল কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। টানা চারদিন ধর্ষণের পর বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য কিশোরীকে হুমকি দেয়। ভয়ে কিশোরী কাউকে জানায়নি। এরই মধ্যে তার মা অসুস্থতা নিয়ে মারা যান। এরপর কিশোরী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বসলে কিশোরী ওই ঘটনার জন্য চাচা সোহেলকে দায়ী করেন। গত জুন মাসের শেষ দিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। পরে থানার ওসির মাধ্যমে বাচ্চাটিকে দত্তক দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার ধর্ষক সোহেল কারাগার থেকে বের হয়ে শুক্রবার এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। এতে ওই ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবার মামলায় ধর্ষক চাচা সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে জামিন নিয়ে আসার বিষয়টি আদালত জানে।  
তবে মোটরসাইকেল শোডাউন এবং উল্লাসের বিষয়টির খোঁজ নিয়ে জানাতে চেয়েছেন তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)