পিরোজপুর স্বরুপকাঠীর ভাসমান পেয়ারার হাট। এ হাটে নৌকায় করেই পেয়ারা কেনা বেচা করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে করোনার কারণে এ বছর বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসারীরা পেয়ারা কিনতে না আসায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিস্টরা।
পিরোজপুরের কুড়িয়ানার পেয়ারার খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। শত বছর ধরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করছেন চাষীরা। পেয়ারার মৌসুমে প্রতিদিন এখানে ভাসমান হাট বসে। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় পেয়ারা বেচাকিনি করেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
চাষীরা বলছেন, করোনারা কারণে পাইকাররা না আসায় পেয়ারা বিক্রি করতে পারছেন না তারা। আবার সংরক্ষণের কোনো হিমাগারও না থাকায় পেয়ারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কয়েককোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কায় তারা।
চাষীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য ‘পেয়ারা পরিবহন, বিপণন ও সংরক্ষণের সুব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন অনেকে ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বা বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে মৌসুমী এ ফল পেয়ারা বছর জুড়ে ভোক্তাদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব বলে মনে করেন কৃষিবিদরা।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ