দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাট সংকট নিয়ে ঈদ প্রস্তুতি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাট সংকট নিয়ে ঈদ প্রস্তুতি

শফিকুল ইসলাম শামীম, রাজবাড়ী :

ফেরি ঘাট সংকট নিয়েই, ফেরি ঘাটের ঈদ প্রস্তুতি। ভুগান্তির আসঙ্গা ঘরমুখি মানুষের। তবে বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন ঈদে ঘরমুখি মানুষের কোন দুর্ভোগ হবে না।

 মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া পারে ৬টি ফেরি ঘাট রয়েছে।

যার মধ্যে ১ ও ২নং ফেরি ঘাট প্রায় ৯ মাস অকেজো রয়েছে। ৩নং ফেরি ঘাট নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া ৩দিন যাবৎ সংযোগ সড়ক তলিয়ে যায়। ঝুঁকি নিয়ে ঘাটটি সচল রাখায় পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে ঘাটটি বন্ধ রয়েছে।  

৪নং ফেরি ঘাট দিয়ে শুধু ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি’র জন্য বরাদ্ধ।

এই ঘাটে রোরো (বড়) ফেরি ভিরতে পারে না। ৫নং ফেরি ঘাটের ৩টি পকেটের মধ্যে ২টি অকেজো রয়েছে। মাত্র ১টি পকেট দিয়ে রোরো ফেরি ভিরতে পারে। ৬নং ফেরি ঘাটে রোরো (বড়) ফেরি ভিরতে পারে না।  

শুধু ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি ভিরতে পারে। সুতরাং দৌলতদিয়া পারে ঘাট সংকট থাকার কারণে ফেরিগুলো লোড-আনলোড নিয়ে অনেক সময় লাগে। অনেক ফেরি ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে লোড-আনলোড করছে।  
  
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহু রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান রোরো (বড়) ৮টি, ইউটিলিটি (ছোট) ৬টি এবং ১টি মাঝরী ফেরি সহ মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। তবে দৌলতদিয়া পারে ঘাট সংকটের কারণে ফেরিগুলো চলাচল করতে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। অনেক ফেরি ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় করে আনলোড করতে হচ্ছে। যে কারণে ঘাটে কিছু যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।  

রাজবাড়ী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে দুই দিনের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হবে।
 
ঘাটের এমন পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সমন্বয়ের কোন অভাব নেই বলেই আমরা এক সাথে এসে ঘাটের পরিস্থিতি পরিদর্শন করছি এবং সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  

বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটগুলো পরিদর্শন করে জানান, ঘাটে ছোট ছোট সমস্যাগুলো আজকের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। ঈদে ঘরমুখি মানুষের কোন প্রকার সমস্যা হবে না।  

প্রতিবছর ঈদে এমনি সমস্যা হয় এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রাকৃতিক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যে কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি না পেলে এমন সমস্যা হতো না।    

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল