আ. লীগ নেতা হত্যার ৬ বছর; এখনো পলাতক ১৭ আসামি

আ. লীগ নেতা হত্যার ৬ বছর; এখনো পলাতক ১৭ আসামি

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী:

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলী (নিশাত সেলিম) এর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয়েছে। গুলি ও গলা কেটে করে হত্যার ৬ বৎসর পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। অসহায় পরিবারটিও এখনো স্বজনের হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।

পারিবারিকভাবে মরহুম সেলিমের মিলাদ মাহফিল ও দোয়া করা হয়েছে।

তবে করোনা পরিস্থিতি কারণে দলীয়ভাবে কোন কর্মসূচি পালিত হয়নি।

পুলিশ সেলিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ২৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে মামলার চার্জশিট দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ জুলাই রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাইজদী আসার পথে সেলিমকে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।

ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের মহতাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। সেলিমকে হারিয়ে তার পরিবার সদস্যরা অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন।  

সেলিম নোয়াখালীর সীমান্তবর্তী জেলা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরসাই ইউনিয়নের তিতারকান্দি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সেলিম একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় উপস্থিতি ছিল তার। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি পদে ছিলেন।

এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম সামছুদ্দিন জেহান এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

এদিকে সুধারাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) টমাস বুড়য়া জানান, এই মামলায় ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সুধারাম থানার পুলিশ এই পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।  
কয়েকজন লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, এ মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও পলাতকদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ মামলার ১৭ জন আসামি পলাতক।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল