প্রধানমন্ত্রী রামমন্দিরের ভূমি পুজোয় গেলে ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত আসবে: ওয়াইসি

প্রধানমন্ত্রী রামমন্দিরের ভূমি পুজোয় গেলে ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত আসবে: ওয়াইসি

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ভূমি পুজোয় গেলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত আসবে বলে মন্তব্য করেছেন, ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি।

আগামী ৫ আগস্ট উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বহুল আলোচিত রাম মন্দিরের ভূমি পুজো ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেশকে জানানো উচিত, তিনি সেখানে ব্যক্তি হিসেবে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যান তাহলে তা দেশের সংবিধানের মূলভিত্তি, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ রক্ষা করার শর্ত ভঙ্গ করে।

’ তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব সম্প্রদায় এমনকি নাস্তিকদেরও প্রতিনিধি।

ওয়াইসি আরো বলেন, ‘আমরা ভুলতে পারি না যে অযোধ্যাতে ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাবরী মসজিদ ছিল এবং ১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদী উগ্র কিছু জনতা তাকে ধ্বংস করেছিল। ’

গতকাল মঙ্গলবার হিন্দি দৈনিক ‘জনসত্তা’ জানিয়েছে, ওয়াইসি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাবরী মসজিদ ছিল এবং তা সবসময় মসজিদই থাকবে। আমরা নয়া প্রজন্মকে বলব আমাদের মসজিদকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এটা আমার বিশ্বাস। এ থেকে আমাকে বা অন্য কারও কাছ থেকে কেউ নিতে পারবে না। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কী বাবরী মসজিদ ধ্বংস করা হয়নি?

ওয়াইসি বলেন, ‘ইতিহাস স্মরণ রাখবে যে ১৯৪৯ সালের ২২ / ২৩ ডিসেম্বর মধ্য রাতে কী হয়েছিল যখন মসজিদের মধ্যে প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়েছিল। এরপরে ১৯৯২ সালে সেটি ধ্বংস করা হয়। ’

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে হিন্দুত্ববাদী উগ্র বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় অযোধ্যার কয়েক শ' বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রধর্মান্ধরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তাঁদের দাবি, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান।

দীর্ঘকাল ধরে আদালতে মামলা চলার পরে গতবছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট একটি ট্রাস্ট গঠন করতে বলে এবং ট্রাস্টের মাধ্যমে বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। এ ব্যাপারে আদালতে মুসলিমদের দাবি খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই বহুল আলোচিত রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়। সুপ্রিম কোর্ট অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দেওয়ার কথা বললেও সেই বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি এবং মুসলিমরাও অন্যত্র মসজিদ তৈরির বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ