১৩ বছর পর ট্রেনে চড়ে গরু এলো ঢাকায়

১৩ বছর পর ট্রেনে চড়ে গরু এলো ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক

১৩ বছর পর আবারও ট্রেনে পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। প্রথম যাত্রায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে বুধবার সকালে  ২৬১টি গরু ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে।  

গরু প্রতি ভাড়া পড়েছে  ৫০০ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে সাতটি কোরবানির পশুবাহী ট্রেন পরিচালনা করেছিল রেলওয়ে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াগন না চললেও, গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থেকে ২৩০ এবং মেলান্দহ থেকে ৩১টি গরু নিয়ে যাত্রা করে ‘ক্যাটাল স্পেশাল’। মিটারগেজ ১৭ ওয়াগনের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১৬টি গরু।

 খামারিদের সুবিধার্থে ওয়াগনের শেষে যুক্ত করা হয় একটি যাত্রীবাহী বগি। জয়দেবপুর, তেজগাঁওয়ে কিছু গরু নামিয়ে বাকিগুলো নিয়ে কমলাপুরের আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে ওয়াগনটি।

করোনার কারণে ৬৮দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে রেল। ঈদযাত্রায় সারাদেশে মাত্র ১৭টি আন্তঃনগর ট্রেন চলছে। করোনাকালে কৃষকের সুবিধায় এর আগে কৃষিপণ্য ও আমবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করেছিল রেলওয়ে।  

ঈদে খামারিদের সুবিধায় গত ৭ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ওয়াগন পরিচালনার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোরবানি উপলক্ষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেনে করে কোরবানির পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় ট্রেন পরিচালনা করতে পারছিল না রেলওয়ে।

ব্যাপারিরা জানিয়েছেন, সড়ক পথের তুলনায় কম খরচ রেলে। জামালপুর থেকে ট্রাকে গরু প্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। রেলে খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। ট্রাকে তাদের বসার ও বিশ্রামের জায়গা থাকে না, যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে গরু ভিজে যায়। পথে ট্রাক দুর্ঘটনার ভয় থাকে। কিন্তু রেলে এসব ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল