পদ্মা ও আড়িয়াল খার গর্ভে বিলীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

পদ্মা ও আড়িয়াল খার গর্ভে বিলীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর ভাঙ্গনে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলিন হচ্ছে নদী গর্ভে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মার ভাঙ্গনে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবন নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও মাদারীপুর সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাংশ ভেঙ্গে গেছে আড়িয়াল খা নদীর ভাঙ্গনে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র স্রোত অব্যাহত থেকে মাদারীপুরের শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

এছাড়া ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা
ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখনো পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত অব্যাহত থেকে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ৭ ইউনিয়নে। পদ্মা তীরবর্তী শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাতে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে মঙ্গলবার বিকেলে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭ নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবনটির বৃহৎ অংশ বিলীন হয়। বিদ্যালয়টিতে ২৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এদিকে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে কয়েকদিন আগেই বন্দরখোলা ইউনিয়নে একটি ৩ তলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, কাজীর সূরা সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, শিবচরের আড়িয়াল খা তীরবর্তী সন্ন্যাসীরচর,
শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিনেও নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার শিরখাড়া, পাঁচখোলা, কালিকাপুর এবং কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি। কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেও কাজ হচ্ছে না। তবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, মাদারীপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। সেইসব আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর