এবছর সারাদেশে কোরবানি হয়েছে ১ কোটি পশু

এবছর সারাদেশে কোরবানি হয়েছে ১ কোটি পশু

অনলাইন ডেস্ক

একদিকে করোনায় স্থবির সারাদেশ, অন্যদিকে দেশের ৩৩টি জেলায় বন্যা থাকায় এবার দেশে ৫ শতাংশ কম পশু কোরবানি হয়েছে। অর্থসংকট থাকায় এবার অনেকেই কুরবানি করতে পারেননি। ফলে এবার সারাদেশে কোরবানি হয়েছে ১ কোটি পশু। গতবার এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬ লাখ।

এবার যে ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে, তার মধ্যে গরুর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যা ও করোনার প্রভাবে কোরবানির পশু বিক্রির সংখ্যা কমেছে এবার। গত বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল।

সাধারণত আগের বছরের তুলনায় প্রতিবছর আরও ৫ শতাংশ যোগ হয়। প্রতি বছর ৫ শতাংশ কোরবানি বাড়ে। অথচ করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। করোনায় সবারই আয়-রোজগার কমেছে, তাই পশুর চাহিদাও কমেছে। দেশে মোট খামারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৯১টি। করোনা ও বন্যায় সব খামারি কোরবানির ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সূত্রটি আরও জানায়, এবার কোরবানির ঈদে ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৬০ লাখ। সাধারণত প্রতি বছর কোরবানির হার ৫ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু এবার করোনা সংকটের কারণে ৫ শতাংশ না বেড়ে ৫ শতাংশ কমেছে।   

ঈদে ঢাকার কয়েকটি অস্থায়ী হাটে গরুর সংকট প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, দেশে গবাদি পশু চাহিদার তুলনায় বাড়তি ছিল। করোনার কারণে মানুষ হয়তো কোরবানি কম দেবে, এই আশঙ্কায় বেপারিরা হাটে গরু একেবারেই কম তুলেছেন। তবে হাটে বড় গরুর অভাব না থাকলেও মাঝারি গরু কম ছিল। রাজধানীর কয়েকটি হাট বাদে সারাদেশে গরুর দামও ঠিক ছিল।
 
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (খামার) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছর ঈদে গড়ে ৫ শতাংশ পশু বেশি কোরবানি হয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা ও বন্যার কারণে এবার ৫ শতাংশ কোরবানি কমেছে। গত বছর ১ কোটি ৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার হয়েছে ১ কোটি। তবে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তার থেকে ভালো হয়েছে।

ঢাকার কয়েকটি হাটে ঈদের আগে গরু সংকট প্রসঙ্গে ড. এবি এম খালেদুজ্জামান বলেন, গবাদি পশুর কোনও ঘাটতি ছিল না। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে একটা বিষয় বার বার এসেছে, করোনার কারণে গরু কোরবানি কম হবে, মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে অনেক বেপারি হাটে গরু তুলতে ভয় পেয়েছেন। ফলে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হয়েছে। ছোট গরুর সংকট হলেও বড় গরু বেশি ছিল।  

সূত্র: বাংলানিউজ
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক