লেবানন বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জনকে আটক

লেবানন বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জনকে আটক

অনলাইন ডেস্ক

বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬ জনকে আটক করেছে লেবানন কর্তৃপক্ষ। আগামী চারদিনের মধ্যে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ক্ষতচিহ্ন এখনো দগদগে। নিখোঁজ অনেকে।

ধ্বংস্তূপ খুঁড়ে চলছে অনুসন্ধান। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বৃহস্পতিবার লেবানন সফরে যান ফরাসির প্রেসিডেন্ট ইমানুলে ম্যাক্রোঁ। বিস্ফোরণের পর বিদেশি নেতাদের মধ্যে ম্যাক্রোঁই প্রথম বৈরুত সফরে গেলেন।

বৈরুত পৌঁছেই বিস্ফোরণস্থলসহ ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাস্তা-ঘাট ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় নিজ দেশের নেতৃত্বকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে এই শোষণ অবসানের দাবিতে স্লোগান দেন লেবানের সাধারণ মানুষ। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে লেবাননকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন ম্যাক্রোঁ।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি মনে করি লেবানন একা নয়। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় আক্রান্ত লেবানন গভীর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে দেশটিতে সংস্কার আনা না হলে এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে।

আহতদের চিকিৎসায় খোলা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। বিভিন্ন দেশ থেকে আসতে শুরু করেছে সহায়তা। এরইমধ্যে তুরস্ক, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ জরুরি ওষুধ ও খাবার পাঠিয়েছে। এছাড়া, উদ্ধার কাজে দমকলবাহিনীর টিম পাঠিয়েছে ইতালি।

ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে লেবাননের তদন্ত এখনও চলতে থাকলেও সম্ভাব্য একটি কারণের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সেটি হচ্ছে কৃষিকাজে সার তৈরিতে ব্যবহৃত বিপজ্জনক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এর বিশাল একটি চালান।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বলছে, এমভি রোসেস নামের রুশ মালিকানাধীন একটি জাহাজ ২০১৩ সালে বৈরুত বন্দরে পৌঁছালেও আর্থিক জটিলতায় সেখানে আটকা পড়ে। বারবার সতর্ক করা হলেও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই বিস্ফোরক বোঝাই ওই চালানটি কয়েক বছর ধরে বৈরুত বন্দরে আটকে ছিল।

তবে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বহনকারী জাহাজ বৈরুতে আটকা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মোজাম্বিক বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল