মেজর সিনহার সহযোগী সিফাতেরও জামিন

নিহত মেজর (অব:) সিনহা (বামে) ও তার সহযোগী সিফাত (ডানে)

মেজর সিনহার সহযোগী সিফাতেরও জামিন

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী  স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন দিয়েছেন আদালত।

টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত পুলিশের করা দুই মামলায় সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে তাকে জামিন দেন।   এছাড়া দুটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবের কাছে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা দুটি হচ্ছে–মাদক ও অস্ত্র মামলা।

সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা জানান, সিফাতের নামে টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ দুটি মামলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক দুটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবকে এর তদন্তভার দেন।

এর আগে রোববার (৯ আগস্ট) মেজর সিনহার আরেক সঙ্গী মাদক মামলায় গ্রেফতার শিপ্রা দেবনাথকে জামিন দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালত।

সিনহা নিহতের ঘটনায় রামু থানায় করা মাদক মামলায় শিপ্রাকে আর টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলায় সিফাতকে আসামি করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ সময় গ্রেফতার করা হয় মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে। তারা দু’জনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

পাশাপাশি র‌্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।