বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন রেকর্ড

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক

এক দিনে বেশ কয়েকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস রোগী সনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়ালো। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের। গেল এক সপ্তাহে আক্রান্ত ২০ লাখের বেশি।

এই মূহূর্তে করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত, ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো দেশটি। আর বিশ্বের এক চতুর্থাংশ করোনা রোগীর বাস এখন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে এতো সংক্রমনের মাঝে চমক দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ১০০ দিন পার করলো দেশটি।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কখনো হয়েছে লাগামছাড়া আবার কেউ প্রবেশ করেছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে। পরিসংখ্যান বলছে গেল এপ্রিলের মাঝামাঝি একদিনে ৮৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজারের বেশি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পরের মাসে রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও উল্টো চিত্র ছিল দৈনিক মৃত্যুর হারে। মে মাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এর আগের মাসের চেয়ে গড়ে ২৫ হাজার বেশি। কিন্তু ওই মাসে আক্রান্ত বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু কমেছে গড়ে অন্তত দেড় হাজার। জুনেও উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমেছে মৃত্যু হার। তবে আবারো উল্টো চিত্র জুলাইয়ে, সংক্রমনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মৃত্যু।  
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বর্তমানে বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়েছে। শনাক্ত রোগীর তালিকায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে রোগীর সংখ্যা। বিশ্বের ২৫.৫ শতাংশ করোনা রোগীই যুক্তরাষ্ট্রে। আর দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যার বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে ব্রাজিলে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সেখানে ৩০ লাখের বেশি। এছাড়া দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ায়।
বিশ্বে সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে নতুন সংক্রমণ আর মৃত্যুতে এখন সবার ওপরে ভারত। গেল ২৪ ঘন্টায় সর্বচ্চ আক্রান্ত আর মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ২৫ শতাংশ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির দেশে।   
তবে উল্টো চিত্রও রয়েছে বিশ্বে। যখন ক্রমশ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন অনন্য নজির গড়ল নিউজিল্যান্ড। এই প্রথম ভ্যাকসিন ছাড়া করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ১০০ দিন পার করার রেকর্ড করল নিউজিল্যান্ড। এছাড়া বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২৮ লাখের বেশি মানুষ।