রিট খারিজ, নিজাম হাজারী সাংসদ থাকছেন

রিট খারিজ, নিজাম হাজারী সাংসদ থাকছেন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকতে বাধা নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই রায় দেন।

হাইকোর্টের আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে নিজাম হাজারীর পদে থাকা বৈধতা পেল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদনের ওপর গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একক বেঞ্চে উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ মার্চ তারিখ রাখেন হাইকোর্ট।

নিজাম হাজারীর সাংসদ পদে থাকার বৈধতা নিয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিভক্ত রায় দেন। এরপর বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের একক বেঞ্চে আসে।

হাইকোর্টের একক বেঞ্চে রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, সত্য রঞ্জন মণ্ডল ও রাশিদা চৌধুরী। নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিক আহমেদ, নুরুল ইসলাম ও মাহফুজ উল আলম।

আইনজীবী সত্য রঞ্জন মণ্ডল জানান, বিভক্ত রায়ের পর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের পাঁচটি একক বেঞ্চ বিষয়টি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এই বেঞ্চে পাঠান। বিষয়টি ৬ ফেব্রুয়ারি এই আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।

২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সাংসদ পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। ওই বছরের ৮ জুন প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ফেনী-২ আসনের সাংসদ হিসেবে নিজাম উদ্দিন হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে পদে আছেন এবং ওই আসনটি কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক রায়ে রুল যথাযথ (রুল অ্যাবসলিউট) বলে নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাংসদ পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান রিট আবেদন (রুল ডিসচার্জ) খারিজ করে রায় দেন।