ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উন্নয়নে সব সংস্থার সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সমন্বয়ের পর উন্নয়নে সব সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবেন, কিন্তু এক জায়গায় তিনবার রাস্তা কাটতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত আধুনিক ও জনকল্যাণমূলক মহানগরী বিনির্মাণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন মেয়র।
তাপস বলেন, ‘ডিএসসিসির উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি এড়াতে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকাকেন্দ্রিক সব উন্নয়ন প্রকল্প সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই সময়ের মধ্যে কোনো সংস্থা সমন্বয়ে না এলে সেই সংস্থাকে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ’সমন্বয়ের পর সেবা সংস্থাগুলো নিজেদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘অবশ্যই আপনারা আপনাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবেন। কিন্তু এক জায়গায় তিনবার রাস্তা কাটতে পারবেন না। সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে এক জায়গা একবারই কাটতে পারবেন।
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র প্রশ্ন করে বলেন, ‘ড্রেনেজ ওয়াটার মাস্টারপ্ল্যান তো হয়েছে। ২০১৬ সালে সেই প্ল্যান করার পর তা বাস্তবায়নের কী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে? ট্রান্সপোর্ট স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তো হয়েছে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়নে বিআরটিএ কী উদ্যোগ নিয়েছে? অথবা যে কো-অর্ডিনেশন অথোরিটি করা হয়েছে, তারা কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?’
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের প্রতি পপুলেশন প্ল্যানিং করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার পাশে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ শহরেও পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নগরায়ন সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার ওপর চাপ কমবে। ’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘দেশটা একটা ছাতার মতো। এখানে সিটি করপোরেশন আছে, পৌরসভা আছে, রাজউক আছে, পূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে। করপোরেশন বলছে খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে। আমাকে এমনভাবে দিতে হবে, যাতে করে সিটি করপোরেশন কাজ করতে পারে। সিটি করপোরেশনের কোথায় কোথায় সাপোর্ট প্রয়োজন, সক্ষমতা কোথায় বাড়াতে হবে? তা দেখতে হবে। সারা পৃথিবীতে করপোরেশন অবশ্য এই কাজ করছে। ’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
(নিউজ টোয়োন্টিফোর/তৌহিদ)