করোনার ধকল কাটিয়ে আবারো সচল হচ্ছে আবাসন খাত

করোনার ধকল কাটিয়ে আবারো সচল হচ্ছে আবাসন খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার ধকল কাটিয়ে সচল হচ্ছে দেশের আবাসন খাত। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা কিংবা নানা সুযোগ সুবিধায় উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে এ খাতের ক্রেতারা। রিহ্যাব সভাপতির আশা আগামী ডিসেম্বর নাগাদ পুরো গতিশীলতায় ফিরবে আবাসন খাত। এদিকে দেশের জমি বেচাকেনা বা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়ও এসেছে অনেকটাই স্বাভাবিকতা।

বাড়ছে রাজস্ব আদায়।  

মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন খাত। করোনার গত ৫ মাসে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয় থমকে গেলেও বিপুল অর্থলগ্নিকারী খাতটি ধাক্কা সামলে আবারো ঘুরে দাড়াচ্ছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো ও কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ এ খাতটিকে আবারো চাঙ্গা করতে শুরু করেছে।

তবে করোনার কিছুটা প্রভাব রয়েছে শ্রমিক সংকটসহ বেশ কয়েকটি উপখাতে।

এদিকে সাধারণ মানুষের জমি বেচাকেনায় বা হস্তান্তরে ফিরেছে স্বাভাবিক অবস্থা। করোনার প্রভাব কমে আসায় বেড়েছে ভীড় রেজিস্ট্রি অফিসগুলো হয়ে উঠছে কর্মচঞ্চল। মার্চে ঢাকা জেলায় যেখানে দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৭টি। করোনার প্রভাব কাটিয়ে জুলাইয়ে সেটি ১৪ হাজার ২৪৬টি। নিবন্ধন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী বিগত ১২ বছরে ৪ কোটি ২৩লাখ ৬৮হাজার ৭২৯টি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে আয় হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৪৯কোটি টাকা। মাসে আয় দাডিয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা। আর করোনায় শুধু মে মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫২৯ কোটি টাকা।

আর আধুনিক আবাসনে সিঙ্গিল ডিজিটের ঋণ সুবিধায় আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। তবে সরকার এগিয়ে আসলেও ব্যাংকগুলো থেকে ততটা সাড়া মেলেনি বলে জানালেন রিয়েল এস্টেট হাউজিং এসাসিয়েশনের সভাপতি।

তবে সবকিছু মিলিয়ে দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতার উপরই নির্ভর করেই আবাসন খাত আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ