ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার না করায় গেল তিনমাস ধরেই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে মিষ্টি পানির পুকুরসহ গভীর-অগভীর নলকুপগুলো। এ অবস্থায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে উপকুলবাসীর।
গেল ২০মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের সর্ব দক্ষিণের জনপদ সাতক্ষীরা। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। কপোতাক্ষ, চুনা, খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে মূহুর্তে তলিয়ে যায় বিস্তৃর্ণ এলাকা। বেড়িবাঁধগুলো এখনো সংস্কার না করায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে বিশুদ্ধ পানির পুকুরসহ গভীর-অগভীর নলকুপগুলো।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তিনমাস পেরিয়ে গেলেও লোনা পানিতে এখনো তলিয়ে আছে বসত বাড়ী। এতে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
তবে পানি সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে বলে জানালেন সংশ্লিস্টরা। উপকুল বাসীর নানা সমস্যা সমাধানে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ