গণপরিবহণে অনিয়মই যেন নিয়ম

গণপরিবহণে অনিয়মই যেন নিয়ম

আশিকুর রহমান শ্রাবণ

অনিয়মই যেন নিয়ম, গণপরিবহণে। চলমান করোনা সংক্রমন পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই, আছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতা।  

এই পরিস্থিতিতে গণপরিবহণ বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের নিয়মে যাত্রী পরিবহণের সিদ্ধান্ত করোনা মোকাবিলা নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারওপর, যাত্রীর স্বার্থের চেয়ে মালিকের স্বার্থ দেখার অশুভ প্রতিযোগিতা আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদাসীনতা, এই খাতের নৈরাজ্য আরো বাড়াচ্ছে।

রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে, একটি লোকাল বাসে, যাত্রীর পরিচয়ে ক’দিন আগেও বাসে ওঠার সময় জীবানুনাশক মিলতো, এখন তার দেখা নেই। এক সিট, এক যাত্রী নীতিও অনুপস্থিত। দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন চলছে। অর্থাৎ ১৩ দফা নীতি’র প্রায় সবগুলোও মানা হচ্ছে না।

কিন্তু ভাড়া আদায়ের সময়, অতিরিক্ত ৬০ শতাংশের পুরোটা আদায়ে তৎপর তারা।

এই অবস্থায়, ১ সেপ্টম্বর থেকে, পুরনো ভাড়ায় ফিরতে চায় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।   তবে কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ বলছেন, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে তারা শঙ্কিত।

তবে সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন  মনে করেন বিআরটিএর’র তদারকির অভাবেই গণপরিবহণে অব্যবস্থপনা থেকেই যাচ্ছে ।  

এদিকে, সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি’র সভাপতি  মশিউর রহমান রাঙ্গা আশ্বাস দিচ্ছেন, তারা সামনের দিনগুলোতে,  নিয়ম মেনেই গণপরিবহন পরিচালনা করবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠোর মনিটরিং ছাড়া, পরিবহণখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম