আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

অনলাইন ডেস্ক

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানিতে আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের ক্ষত না শুকাতেই স্বেচ্ছাশ্রমে বাধা রিং বাঁধ গত দুদিনের জোয়ারের পানিতে ভেঙে ভেসে গেছে।

এতে মাছের ঘেরসহ তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেতও। কোমর পানিতে ডুবে আছে প্রায় প্রতিটি বাড়ি।

যা এর আগে কখনো কেউ দেখেনি। পানিবন্দি গ্রামবাসী অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রশাসনে এ দুর্দশা লাঘবে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রিউলাসহ চারটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়।

ভেসে গেছে শত শত মৎস্য ঘের, তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। ধসে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এরইমধ্যে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে পানিবন্দি মানুষেরা।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের তিন মাস পর বৃহস্পতিবার থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপে নদীর পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধ পেয়েছে। স্বেচ্ছাশ্রমে বাধা চাকলা দিঘলাবাইট সুভদ্রকাটি রুয়ারবিল কুড়িকাউনিয়া হরিশখালি দয়ারঘাট হিজলাকোলা হাজরাখালি রিং বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  

অনেকের মতে, এ যাবতকালে তারা এ ধরনের পানিবৃদ্ধি কখনো দেখেনি। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৪ ফুট সমান পানি ঢুকে পড়েছে। গবাদি পশু মরে ভেসে উঠছে। রান্না করে খাওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই তাদের। অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তাদের।

আশাশুনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা-ইউএনও আলিফ রেজা বলেন, পানিবন্দি মানুষের দুর্দশা লাঘবে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে সাড়ে ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বড় চারটি পয়েন্ট বাদে সব কটি স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ বাঁধা হয়। যারমধ্যে গত ২০ আগস্ট সৃষ্ট নিম্নচাপে নদীর পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে আবারও ভেঙে গেছে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল