তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠদের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠদের স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

মারুফা রহমান

দলের স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে কথা চলছে বিএনপির ভেতর। বিএনপি সূত্র বলছে, এর আগে যেভাবে শূন্য দুটি পদে নতুন দুই নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল একইভাবে নীতি-নির্ধারণী ফোরামের শূন্যপদ পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠনরা এসব পদে আসছেন বলে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে।

স্থায়ী কমিটির নেতারা বলছেন, কাউন্সিল করার নির্ধারিত সময় পার হলেও কবে নাগাদ জাতীয় কাউন্সিল করা সম্ভব হবে তা নিয়ে আপাতত দলে আলোচনা নেই।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই অনিশ্চয়তা এখন আরও বেড়েছে। তাই শীগগিরিই কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব আনার সম্ভাবনাও নেই।

এ কারণে দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণ করার বিষয়ে নেতাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। স্থায়ী কমিটির তিনটি পদ ফাঁকা থাকলেও অন্তত চারজনকে স্থায়ী কমিটিতে মনোনীত করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্তমান একাধিক সদস্য ও দায়িত্বশীল নেতা।

 

এর কারণ হচ্ছে, স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। যদিও তার পদত্যাগপত্র এখনো দাপ্তরিকভাবে অনুমোদন দেয়নি বিএনপি।

দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, শিগগিরই অন্তত দুজন নেতাকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাই বিএনপির সর্বোচ্চ এ পদে আসতে পারেন। দুর্দিনে যারা বিএনপি বিশেষ করে জিয়া পরিবারের পাশে ছিলেন এবং নানা প্রতিকূল পরিবেশেও দল ছাড়বেন না এমন পরীক্ষিত নেতার মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে তারুণ্য কিংবা জ্যেষ্ঠতা কোনো সমস্যা হবে না। স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলস্নাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বরকত উলস্নাহ বুলু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আওয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম
হোসেন আলাল।

সূত্র মতে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তভাবে আবারও কবে থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে পারবেন তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘসময় এই দায়িত্ব পালন করতে হবে তারেক রহমানকে। সঙ্গত কারণে দল পরিচালনার সুবিধার্থে আস্থাভাজনদের স্থায়ী কমিটিতে আনার প্রয়োজনীতা অনুভব করছেন তারেক।

স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চাইলে স্থায়ী কমিটিতে শূন্যপদ পূরণ করতে পারেন। দলে আরো বেশ কিছু শূন্যপদ রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতে পারেন তারা। তবে এ বিষয়ে সম্প্রতি কোনো আলোচনা তিনি শুনেননি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর