বুরকিনা ফাসোয় হামলায় নিহত ১৬

বুরকিনা ফাসোয় হামলায় নিহত ১৬

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বুরকিনা ফাসোর ফরাসি দূতাবাস ও দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে শুক্রবার জোড়া হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য ও আট হামলাকারী নিহত ও ৮০ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। তবে হামলায় তাদের কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ফরাসি সরকার জানিয়েছে। খবর এএফপির।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ওয়াইভেস লে দ্রিয়ান বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি সন্ত্রাসী হামলা।

তবে কেনো এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।

বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ক্লেমেন্ট সাওয়াদোগো বলেন, সামরিক বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে একটি আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী বৈঠককে লক্ষ্যবস্তু করেই এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। বিস্ফোরণে একটি কক্ষ ধ্বংস হয়ে গেছে।

কিন্তু বৈঠকের স্থান আগেই পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে এই সমন্বিত জোড়া হামলা বলে দিচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকার ভঙ্গুর দেশটিকে কতটা ব্যাপক প্রাণঘাতি হামলা ও জেহাদি গোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহের মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

সাওয়াদোগো বলেন, গাড়ির ভেতরে বিস্ফোরক ভর্তি ছিল। যে কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফ্রান্স ও পশ্চিম আফ্রিকার নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি সূত্র জানিয়েছে, কেবল সামরিক বাহিনীর কার্যালয়ে হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে খবরটি পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পাঁচ বন্দুকধারী গাড়ি থেকে বের হয়ে পথচারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এরপর তারা ফরাসি দূতাবাসের দিকে হেঁটে গেছে। একই সময় বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলের ছবিতে আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখো গেছে।

সাওয়াদোগো বলেন, জি-৫ সাহেল জাতিগুলোর কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক সেনা কার্যালয়ে হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বুরকিনা ফাসো, চাদ, মালি, মৌরতানিয়া ও নাইজারের প্রতিনিধিরা জি-৫ সাহেলের জাতিগুলোর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এসব দেশ সাহারার দক্ষিণাঞ্চলে জেহাদি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাকরন দেশটির নাগরিকদের দূতাবাসের পরামর্শ অনুসারে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং যে কোনো ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর