নার্সের কাণ্ড, হাতের ভেতর কাঠ রেখে সেলাই

নার্সের কাণ্ড, হাতের ভেতর কাঠ রেখে সেলাই

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মো. তোতা মিয়া নামে এক নার্স সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামে দিনমজুর আলাম সর্দারের ১২ বছরের শিশু রাকিব সর্দারের হাতের ভেতর দুই টুকরো কাঠ রেখে সেলাই দেয়। এ ঘটনায় সিভিল সার্জন মো. শফিকুল ইসলার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যারা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সিভিল সার্জনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।

সিভিল সার্জন জানান, ভূক্তভোগী রাকিব সর্দারের বাবা আলম সর্দার দোষীদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রধান মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরুল ইসলাম। অন্য দুজন সদস্য হলেন- সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. খলিলুজ্জামান ও সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান লেলিন।

এরা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণঙ্গ প্রতিবেদন দেবেন। সেই প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া
হবে।

এদিকে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তারা বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্যে সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন।

উল্লেখ্য, গেলো ১৫ মে শুক্রবার দুপুরে ঘরের মাঁচা থেকে পা পিঁচলে পড়ে যায় মাদারীপুর সদরের আলাম সর্দারের ১২ বছরের সন্তান রাকিব সর্দার। পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে এক হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে হাসপাতালের নার্স
তোতা মিয়াসহ আরো দুজন মিলে তাড়াহুড়া করে দুই টুকরো কাঠ রেখে সেলাই করে দেন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুরে ‘রয়েল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়গনিস্ট সেন্টারের চিকিৎসক আবু সালেহ আহমেদ সৌরভ অপরেশন করে হাত থেকে দুই টুকরো কাঠ বের করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর