বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের প্রায় ৩ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল

বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের প্রায় ৩ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল

হাসান পারভেজ

বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের প্রায় ৩ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল। গতকাল রোববার পর্যন্ত সময় দেয়ার পরও এসব হাসপাতাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি। রোববার পর্যন্ত নবায়ন হয়েছে ৪ হাজার ৫১৯টি লাইসেন্স। অপেক্ষমাণ আবেদনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, মন্ত্রণালয়রে সঙ্গে আলোচনা করে সিন্ধান্ত নেয়া হবে অপেক্ষমান তালিকার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  

প্রতিবছর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকের জন্য নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশিরভাগই তা মানেনি। আবার নিবন্ধন না করেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে। ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বড় একটি অংশ লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধন ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

২৬ জুলাই করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ৮ আগস্ট টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে জানানো হয়, ২৩ আগস্টের মধ্যে যে সমন্ত বেসরকারি হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন করবে না তাদের হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকের রয়েছে। রোববার পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ১২ হাজার ২১২টি। নবায়ন হয়েছে ৪ হাজার ৫১৯টি লাইসেন্স। কাগজ পত্রে সমস্যা থাকায় ৩ হাজার ২৬৮টি আবেদন পেন্ডিং রাখা হয়েছে। আর নিবন্ধন নবায়নের জন্য আবেদনই করেনি প্রায় প্রায় ৩ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ হাসপাতাল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না থাকায় তারা লাইসেন্স নবায়ন করতে চায় না। এদিকে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, অপেক্ষমান তালিকার নিবন্ধন নবায়নের জন্য জন্য আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন।

করোনা চিকিৎসায় যুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠলে দেখা যায়, নবায়ন ছাড়াই প্রায় ৬ বছর ধরে হাসপাতালটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ