বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম; পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম; পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি সুমন শিকদার ও ভোলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান

বরগুনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলী জমি, ভেসে গেছে মাছের ঘের। পানিবন্দী নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ভোলায় মেঘনার নদীর শহর রক্ষা বাধ ৪ দিনেও মেরামত করা হয়নি।

গেল বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানির তোড়ে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় ১২টি গ্রাম।

বরগুনা সদর ও পাথরঘাটা উপজেলার দ্বীপ চর মাঝেরচর। গেল কয়েকদিনের অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে এই চরের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।  বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলী জমি।

অধিকাংশ এলাকাতেই পানি ঢুকে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই চরাঞ্চলের মানুষের।  

শুধু মাঝেরচরই নয়। বরগুনার ৬ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৭৮টি  গ্রাম। প্রতিদিনই দুইবার জোয়ারের পানিতে ডুবছে এসব গ্রাম।  এ সকল গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। এ অবস্থায় দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি উপকূলবাসীর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, টানা বর্ষণ ও জোয়ারে বরগুনায় ৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুতই মাঝেরচরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

একই চিত্র ভোলায়। জোয়ারের পানির তোড়ে গেল বৃহষ্পতিবার পূর্ব ইলিশা এলাকায় মেঘনার তীরে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে প্লাবিত হয় অন্তত ১২টি গ্রাম।

তবে গেল চারদিনেও ভেঙ্গে যাওয়া বাধ সংস্কার না করায় দিনে দুই বার জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানির চাপ কমে গেলেই বাধ মেরামত করা হবে।  

শুধূ আশ্বাস নয়, উপকুল বাসীর দুর্ভোগ কমাতে সরকার  দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।  

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ