হোমিওপ্যাথির আর্সেনিকাম অ্যালবামেই কুপোকাত করোনা!

হোমিওপ্যাথির আর্সেনিকাম অ্যালবামেই কুপোকাত করোনা!

অনলাইন ডেস্ক

করোনা শুরুর দিক থেকেই হোমিওপ্যাথি বেশ ভালো ভুমিকা রাখছে। আর তাই ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয় ও সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি (সিসিআরএইচ) মার্চ থেকেই যৌথ উদ্যোগে গুজরাট, কেরেলা, মহারাষ্ট্রসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে।

এটির প্রয়োগে অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করেছে গুজরাটের স্বাস্থ্য অধিদফতর। খবর জিনিউজের।

জানানো হয়েছে, মার্চ থেকে রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষকে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি দেওয়া হয়।  

এ ওষুধটির প্রশংসা করে গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটরি জয়ন্তী রবি জানান, যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন নিয়ম মেনে হোমিওপ্যাথির আর্সেনিকাম অ্যালবাম খেয়েছেন, তাদের ৯৯.৬৯ শতাংশের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।

‘হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে শিবাঙ্গ স্বামীনারায়ণ জানান, আয়ুষ মন্ত্রণালয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ওষুধটি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

এর আগেই অবশ্য সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি-র ডিরেক্টর জেনারেল ড. অনীল খুরানা বলেছিলেন, আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০ ওষুধই করোনা সারাতে পারবে, এমন কোনো দাবি করা হয়নি। তবে এই ওষুধের নির্দিষ্ট ডোজ নিয়ম মেনে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে।

করোনা ঠেকাতে আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ মতো আর্সেনিকাম অ্যালবামসহ অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় যে ফলাফল সামনে এসেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সামনেও। করোনা রুখতে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম সরাসরি কতটা কার্যকরী, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

গুজরাটের আয়ুষ বিভাগের ডিরেক্টর ভাবনা প্যাটেল মনে করছেন এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর