বেড়ি বাঁধ মেরামত না হওয়ায় সাতক্ষীরায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

বেড়ি বাঁধ মেরামত না হওয়ায় সাতক্ষীরায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, শাকিলা ইসলাম জুঁই

সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ভেঙ্গে যাওয়া লেবুবুনিয়া ও হিজলিয়া ক্লোজার এবং হাজরাখালি বেড়িবাঁধ মেরামত না হওয়ায় গত চার দিনে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্লাবিত এলাকা আরও ভয়াবহ আকার ধারন করছে।

দিনে দুই জোয়ারের পানি উঠানামা করায় গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া, ডুমুরিয়া, লক্ষিখালি, চকবারা, খলসেবুনিয়া, গাবুরা, খোলপেটুয়া এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন ও প্রতাপনগরের মোট ৩৯টি গ্রাম পানিতে ভাসছে।

তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট, বসতভিটা, ক্ষেতের ফসল। ভেসে গেছে শত শত চিংড়ী ঘের ও ছোট-বড় পুকুর।

ফলে মানবেতর জীবন-যাপন করছে উপকূলবাসী। আশাশুনির প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বাঁধ সংস্কারের জন্য সংশিলিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত এবং স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোডকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

এদিকে সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়ার ভাঙ্গকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে সাতক্ষীরার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানিতে তলিয়ে আছে রোপা আমন। বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতক্ষীরা সদরের ফিঁংড়ী, এল্লারচর, ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর, পুরাতন সাতক্ষীরা, মাছখোলা, মধুমল্লারডাঙ্গী, লাবসা, মাগুরা, গোয়ালপোতা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকা পরিদর্শন করে ড্রেনেজের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি মাঠে কাজ করছেন।

এছাড়া কলারোয়া, পাটকেলঘাটা ও তালার বৃস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। খাল-বিল, মাঠ,রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে আছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ তালার খলিলনগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ।  

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ