জোয়ারের পানিতে দিনে দু'বার ভাসছে নগরী, ভোগান্তিতে মানুষ

জোয়ারের পানিতে দিনে দু'বার ভাসছে নগরী, ভোগান্তিতে মানুষ

রাহাত খান, ব্যুরো প্রধান, বরিশাল

অর্ধ শতাব্দির রেকর্ড ভেঙ্গে বরিশাল নগরীর সদর রোড এবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো। অতিবৃষ্টি, উজানের পানির ঢল আর জোয়ারের প্রভাব, সব মিলিয়ে আপাত দৃষ্টিতে এই সমস্যা প্রাকৃতিক মনে হলেও আসল কারন ভিন্ন। অভিযোগ আছে, অব্যাহত দখল আর দূষণে বরিশালের প্রায় অর্ধশত খালের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়ায় ভেঙে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এমন বাস্তবতায় খাল-ড্রেন সংস্কারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

 

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বরিশালে প্রবহমান খাল ছিলো ৪৬টি। এর মধ্যে ৫টি মিশেছে কীর্তনখোলা নদীতে। নদী-খালে বেষ্টিত বরিশাল একসময় পরিচিতি পায় প্রাচ্যের ভেনিস নামে। কিন্তু দখল-দূষণে সেসব খালের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।

এর ফলস্বরূপ ৫০ বছর পর আবারো জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে বরিশাল নগরী। শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা সদর রোড গেল কয়েকদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে দিনে দুবার করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

এই অবস্থা থেকে উত্তোরণে খালগুলোকে সংযুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের বড় পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।

খাল দূষণের জন্য নগরবাসীর অসচেতনতাকেও দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ জরুরি, বলছেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী।

জলাবদ্ধতা পরিদর্শনে গিয়ে গেল শনিবার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম। এসময় নগরীর ৫টি খাল খনন, কীর্তনখোলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও স্লুইস গেট নির্মাণের নির্দেশ দেন তিনি।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্লুইস গেট না করে আধুনিক ব্যবস্থায় জোর দেয়া হলে নৌরুটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ