রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র সচিব জানালেন

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

বর্ষা মৌসুমের পরে ‘যাওয়া ও পরিদর্শন’ কর্মসূচির আওতায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচর দ্বীপে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা শিগগিরই একটি যাওয়া ও পরিদর্শন সফরের (কর্মসূচি) ব্যবস্থা করব। বর্ষার পর আমরা রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর শুরু করার প্রত্যাশা করছি। ’ 

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেখানে ভালো আছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘের দলও পরিদর্শন করতে পারে এবং মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যমের লোকদের জন্য সরকার আরো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার থাকার ব্যবস্থা করতে সেখানের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে সরকার।

মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশের অভাব এবং দুটি ব্যর্থ প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে এখনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। রাখাইন রাজ্যের পরিবেশের পরিবর্তন আনতে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে বোঝানোর জন্য বিশ্বের অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কানাডিয়ান হাইকমিশন ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদশের সাউথ-এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (সিআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিআইপিজি) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: ওয়েস্টার্ন, এশিয়ান এবং দ্বিপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের কয়েকটি মূল বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় সন্ধান নিয়ে ধারণা তৈরি এবং মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি আদা- প্রদানের উদ্দেশ্যে এর আয়োজন করা হয়।

মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সৈয়দ হামিদ আলবার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) সিনিয়র ফেলো মো. শহিদুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

কর্মকর্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য রাখাইনে ‘অনুকূল পরিবেশের অভাবের কারণে’ এ সংকট চতুর্থ বছরে প্রবেশ করা সত্ত্বেও মিয়ানমার কোনো রোহিঙ্গাকে এখনো ফিরিয়ে নেয়নি।

২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরু করলে সাত লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল