বন্যায় ভেসে গেছে হাজারো মাছের ঘের, পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব চাষীরা

বন্যায় ভেসে গেছে হাজারো মাছের ঘের, পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব চাষীরা

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

টানা বৃষ্টি আর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটে বড় ক্ষতি হয়েছে মাছের। জেলার পাঁচ সহস্রাধিক খামারের চিংড়ি ভেসে গেছে। পুঁজি হারিয়ে অনেকই এখন নিঃস্ব। শতভাগ রপ্তানিপণ্য ভেসে যাওয়ায় ঠিক কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয় মৎস্য বিভাগ।

ক্ষতি পোষাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।  

সাড়ে ৭৮ হাজার খামারে প্রায় ৩০ হাজার টনি উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে চিংড়ি চাষে বাগেরহাট প্রথম সারির জেলা। এই অঞ্চলে উৎপাদিত চিংড়ির ৯৫ শতাংশই রপ্তানি হয়। ঘেরগুলোতে আগস্ট থেকে শুরু হয় চিংড়ি আহরণ মৌসুম।

কিন্তু মধ্য আগস্টে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি অসংখ্য ঘেরকে এক করে ফেলেছে। এতে ভেসে গেছে রপ্তানিযোগ্য গ্রেডের চিংড়ি। সরকারি হিসেবে মোংলায় ১ হাজার ৭৬৫টি ও মোরেলগঞ্জে ২ হাজার ২৬৫টি ঘেরসহ ৬ উপজেলায় ৫ হাজার ২৭৪টি ঘের ভেসে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে মাছ আহরণের সময়ের এই ঘটনা বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি নিরুপন হয়েছে। তবে প্রকৃত পরিমান জানতে কাজ চলছে।

গেল অর্থবছরে বাগেরহাটের চাষিরা সাড়ে ১৬ হাজার টন বাগদা ও সাড়ে ১৫ হাজার টন গলদা উৎপাদন করেন।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ