রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতাকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতাকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

আসমা তুলি

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে। আর সোমবার জার্মানির চিকিৎসকরাও নাভালনির খাবারে বিষ প্রয়োগের সম্ভাবনার কথা জানান। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিষ প্রয়োগে হত্যা বা প্রাণনাশের চেষ্টা নতুন নয়। অতীতে এমন অনেক ঘটনার নজির রয়েছে।

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা বেশ পুরনো। বহুআগে থেকেই রাজা-বাদশাহ বা রাজনৈতিক নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিষের ব্যবহার করে আসছে। যার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনি। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি জার্মানিতে আছেন ।

নাভালনির শরীরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বার্লিন চিকিৎসকরা। চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ৪৪ বছর বয়সি সাবেক এই আইনজীবী চা পান শেষে বিমানে উঠার পর  অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি৷

২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি বিষ প্রয়োগের আরেকটি ঘটনা ঘটে। ওইদিন কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈমাত্রেয় ভাই কিম জং ন্যামের মুখে দুই নারী ভিএক্স নামের একটি রাসায়নিক মাখিয়ে দেন। এতে প্রাণ হারান তিনি।

রাশিয়ার  গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্নেল ভিক্টর কালাশনিকভ ও তার স্ত্রীকে ২০১০ সালে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে তাদের বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর লিতভিনেঙ্কো ব্রিটেনে আশ্রয় নেবার পর ২০০৬ সালে দু’জন সাবেক কেজিবি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।   পরে হাসপাতালে মারা যান। জানা যায়, তেজস্ক্রিয় পলোনিয়াম-210 বিষের ক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়৷

এখানেই শেষ নয়, ২০০৪সালে ইউক্রেনের বিরোধী নেতা ইউশ্চেঙ্কো, ১৯৯৭ সালে ইসরায়েলের হামাস নেতা খালেদ মেশাল, ১৯৭৮ এ বুলগেরীয়ায় সরকারের সমালোচক গেয়র্গি মার্কভসহ নানান দেশের আরও বেশ কয়েকজনকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার ইতিহাস রয়েছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ

সম্পর্কিত খবর