দেশে চাকরি প্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণ তরুণী

যোগ্যতা আছে কিন্তু দরখাস্ত করারও সুযোগ নেই

বাবু কামরুজ্জামান

দেশে চাকরি প্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণ তরুণীদের জন্য এক অনিশ্চিত সময় কাটছে করোনাকালে। যোগ্যতা আছে কিন্তু দরখাস্ত করারও সুযোগ নেই। বেসরকারি খাতেও নিয়োগ বন্ধ প্রায়।

সম্প্রতি এডিবি ও আইএলওর এক প্রতিবেদন বলছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশে স্বল্পমেয়াদে চাকরি হারাবে আরো ১১ লাখ তরুণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বেকারত্বের সঙ্কট।   

শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা বিষয়ে আরো বছর খানেক আগে স্নাতক শেষ করেছেন কাজী সিলভিয়া তিন্নি। কোন ভাই নেই; চার বোনের মধ্যে পরিবারের সবার ছোট তিন্নি স্বপ্ন দেখেন সরকারি বা বিষয়ভিত্তিক কোন বেসরকারি চাকরির। তাই এই করোনাকালেও নিয়মিত তার চোখ খুঁজে ফেরে চাকুরির বিজ্ঞাপন।

তবে মহামারীর ধাক্কায় পছন্দের কাজ পাবার স্বপ্ন এখন আটকে আছে অনিশ্চয়তার চোরাবালিতে।

হিসাব বলছে প্রতিবছর দেশের প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী বাংলাদেশের চাকরির বাজারে যোগদান করেন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। যেখানে বেকার অন্তত ২৭ লাখ । তবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.২% হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। এমন বাস্তবতার মধ্যে এসেছে করোনার আঘাত, যা চাকুরি বাজারের বহু দরজায় লিখে রেখেছে-নো ভ্যাকান্সির সাইনবোর্ড।  

এডিবি ও আইএলওর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশে স্বল্পমেয়াদে কর্মসংস্থান হারাবে ১১ লাখ তরুণ। ফলে  ভবিষ্যৎ এই অনিশ্চয়তা কাটাতে কর্মসংস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং খাতভিত্তিক কাজের সুযোগ তৈরির তাগিদ এই বিশেষজ্ঞের।

করোনার সাথে লড়াই করে রাজধানীতে ব্যস্ততা বাড়লেও বড়, মাঝারি অনেক কোম্পানি গত কয়েকমাসে ব্যবসা না হওয়ায় কর্মী ছাঁটাই এবং বেতনও কমিয়েছেন। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে আছে ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের নিয়োগও।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল