‘‘রাজধানীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা’’

‘‘রাজধানীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা’’

মৌ খন্দকার

স্বামী আসমত আলী ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী আর স্ত্রী ফারজানা বেগম ছিলেন বেসরকারি সংস্থা আশার গৃহ পরিচারিকা। রাতে তারা আশার অফিসেই ঘুমাতেন। শনিবার সকাল আটটার দিকে নাখালপাড়ার অফিস থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এডিসি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, আসমতকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এবং ফারজানাকে ফ্লোরে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ফারজানার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।  

বাবা মায়ের ঝগড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে নিহত দম্পতির ছেলে সিফাত। রাতে সে তাদের ঝগড়া মিটমাট করে চলে যায় বলে জানায়।

তার বড় ভাই রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বাবা মায়ের কছে গেলে কোন সাড়া পায়নি বলে জানিয়েছে। পরে সকালে ঘটনা প্রতিবেশিদের জানালে, সবাই মিলে দরজা ভেঙে দম্পতির মরদেহ দেখতে যায়। প্রতিবেশিদের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।  

প্রতিবেশীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে এই এলাকাতেই থাকতেন আসমত ও ফারজানা দম্পতি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল