নদী ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে দিশেহারা তীরবর্তি মানুষ

নদী ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে দিশেহারা তীরবর্তি মানুষ

রাহাত খান, বরিশাল:

মেঘনা, মাসকাটা, কালাবদর, ইলিশা ও তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা। গেল এক মাসের ভাংগনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলা দুটির ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বাড়িঘর ও ফসলী জমি। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ক্ষতিগ্রস্থদের। বেড়ি বাঁধ নির্মান ও ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

 

বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলায় মেঘনা, মাসকাটা, কালাবদর, ইলিশা ও তেতুলিয়া নদীর ভাংগন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গেল এক মাসে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে এই দুই উপজেলার বসত-বাড়ি, ফসলী জমি, ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা। ভিটে -মাটি হারিয়ে দিশেহারা নদী তীরবর্তি মানুষ।  
 
গেল বুধবার মেহেন্দিগঞ্জের উত্তরচর এলাকায় মেঘনা নদী ভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন  স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ।

বেরী বাঁধ নির্মান এবং ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাংগন রোধের  আশ্বাসও দেন তিনি।

নদী ভাংগন রোধে মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হলেই স্থায়ী বেরি বাধ নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন সংশ্লিস্টরা।  
 
নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলা এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।   

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল

সম্পর্কিত খবর