পদ্মার আগ্রাসী ভাঙন: তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার নদী গর্ভে বিলীন

পদ্মার আগ্রাসী ভাঙন: তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার নদী গর্ভে বিলীন

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মাদারীপুরে আগ্রাসী পদ্মার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে চরাঞ্চলের চার কোটি টাকার তিনটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। এই তিনটি বিদ্যালয়ের  কয়েক’শ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। তবে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুললে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

 

গেল ২৩ জুলাই এভাবেই চোখের সামনে নদী গর্ভে বিলীন হয় পদ্মার বাতিঘরখ্যাত নূরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়টি। ২০০৯ সালে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তিন তলা ভবনের বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে যার চিহ্নটুকুও নেই।

শুধু এই বিদ্যালয় নয়, পদ্মার তীব্র স্রোতে গেল ২৮ জুলাই কাঁঠালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯ আগস্ট কাজীসূরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভেঙ্গে পড়ে নদীতে।

ফলে এই তিনটি বিদ্যালয়ে ৮০২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।   এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।

তবে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদী ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নিলে বিদ্যালয়গুলোকে রক্ষা করা যেত এমন অভিমত স্থানীয় ও অভিভাবকদের।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র দাস জানান, ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে নদী গর্ভে বিলীন হনে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুললে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ। মাদারীপুরের চরাঞ্চলে এই তিনটি বিদ্যালয় নির্মাণ করতে ব্যায় হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ

সম্পর্কিত খবর