জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী ছিল দুইজন। হামলার পরই একজন মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। অপর একজনকে ধরে বেদম পেটুনি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এই হামলার পরপরই ওই তরুণকে ধরে ফেলা হয়।জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার পরপরই হামলাকারী যুবককে আটক করা হয়। তবে তিনি মরার মতো পড়ে আছেন। কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী জানান, হামলাকারী দুইজন ছিল। হামলার পর সঙ্গে সঙ্গে এক হামলাকারীকে আটক করা হলেও মোটরসাইকেলযোগে আরেক হামলাকারী পালিয়ে যায়। এসময় ইব্রাহিম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলও ছুরিকাঘাতে আহত হন।
হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছে।