যুবকের অতর্কিত হামলায় ছুরিকাহত লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আই অ্যাম অলরাইট, তোমরা উত্তেজিত হয়ো না।
শনিবার বিকেলে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তখন দর্শকসারিতে ছিলেন। ঘটনা প্রত্যক্ষকারী ছাত্ররা হামলাকারী যুবককে ধরে পিটুনি দেন।
পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ওই যুবককে শিক্ষা ভবনের একটি কক্ষে রাখেন। ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪) নামের ওই যুবক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই।
সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নওশাদ সজীব বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত হয়েও জাফর ইকবাল স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছেন।
নওশাদ বলেন, এ সময় তাঁর মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তাঁর মুখ ও শার্ট ভিজে যায়। এ কথা বলার পরপরই তিনি ক্ষতস্থানে এক হাত রেখে আরেক হাতে চেয়ার খুঁজে বসার চেষ্টা করেন। এর পরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরেন।
এরপরই আহত লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার শেষে শনিবার রাত নয়টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।