কুমিল্লা থেকে নিখোঁজের চারদিন পর আ. সালাম খান (৫০) নামে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ মিলল বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পল্লীতে। শনিবার বিকেলে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে শরণখোলা থানা-পুলিশ। পরিবার বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করলেও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
নিহতর বড় ভাই আ. মান্নান খান জানান, তার ভাই দীর্ঘদিন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুমিল্লায় বসবাস করছেন।
তিনি কখন বাড়িতে এসেছেন তা তিনি জানেন না।কুমিল্লায় অবস্থান করা সালামের স্ত্রী শাহিদা বেগম মুঠোফোনে জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে তারা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন মাঝিপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। গত ২৫ আগস্ট বিকেলে বাসা থেকে বের হয় তার স্বামী। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
নিহতের ছোট মেয়ে কুমিল্লা বোর্ড ক্যান্টনমেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার মুঠোফোনে জানায়, তার বাবা আরমিদের রেশন উঠানো এবং বাসা পরিবর্তনের মালামাল পরিবহনের কাজ করতো। মাঝিপাড়া এলাকায় তাদের বাসার সামনে দোকানে যাওয়া কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। কেউ তাকে মেরে ফেলেছে বলে সে ধারণা করছে সে।
নিহত বড় মেয়ে শরণখোলার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের সালমা আক্তার জানান, শুক্রবার দুপুরে তার বাবাকে তার এক চাচী নাকি বাড়িতে ঢুকতে দেখেছেন। তার আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
শরণখোলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, ফাঁকা ঘর থেকে গলায় রশি দেওয়া সালামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এরকম মাঝে মাঝে নিখোঁজ হয়ে যেতেন। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)