নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা; পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা; পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারিতে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে। গেল ১৭ আগস্ট থেকে কক্সবাজারসহ দেশের বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় বন্দি জীবন ভেঙ্গে এরইমধ্যে কক্সবাজার, কুয়াকাটা, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চলনবিল, রাতারগুল, জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। তবে সবর্ত্রই স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা ছিল স্পস্ট।

news24bd.tvকরোনা সংক্রমণের শঙ্কায় মার্চের শেষ দিকে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র। তবে বিপুল জনগোষ্ঠির আয় এবং শিল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি পর্যালোচনায় গেল ১ জুলাই খুলে দেয়া হয় কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র। ওই দিন থেকেই কুয়াকাটায় ভিড়তে শুরু করেন বিপুল পর্যটক। ঘরবন্দি জীবন ছেড়ে সাগরের সান্নিধ্যে আসেন ভয় উপেক্ষা করে।

এরপরই নানা মহলে আলোচনা হয় কক্সবাজার সৈকত খুলে দেয়া নিয়েও। এসবের পর চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে খুলে যায় দেশের সবচে বড় পর্যটন কেন্দ্রটি। খোলা হয় হোটেল-মোটেল। মাঝে বৈরি আবহাওয়ায় কয়েকদিন এই সৈকতে কম থাকে পর্যটকদের ভিড়। তবে এখন ফিরছে তার পুরনো চেহারাতেই।

news24bd.tvএকইভাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খুলে দেয়া হলে সেখানে উপচে পড়েন ভ্রমণপ্রিয়রা। দীর্ঘ সময় পর ঘরের বাইরে স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে পেরে খুশি মানুষ।

সিলেটে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগেই ঘুরতে বের হন ভ্রমন পিপাসুরা। সংরক্ষিত বনাঞ্চল রাতারগুলে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ভিড় শুরু হয় পর্যটকদের।  

শুধু বড় পর্যটনকেন্দ্রই নয়, ভিড় বাড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্পটগুলোতেও। নাটোরের বড়াইগ্রামে বিলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। করোনা এখানে শুধু গণমাধ্যমের বিষয়।  

ভিড় আছে সিরাজগঞ্জেও। গেল কোরবানির ঈদ থেকেই সিরাজগঞ্জের যমুনার তীরে শহর রক্ষা বাঁধে ভিড় বাড়ছে। এখনো ছুটি পেলেই মানুষ ছুটছেন সেই জায়গায়। বন্যায় উত্তরাঞ্চলে চরম ক্ষতির পরও এই ভিড় কমেনি।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ