‘নগরবাসীর দোরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য’

‘নগরবাসীর দোরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য’

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর থেকে

‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ স্লোগানে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় শুরু হলো বিট পুলিশিং কার্যক্রম। দুপুরে নগরীর রামপুরা সাতগাড়া এলাকায় কোতয়ালী থানার ৫ নম্বর বিট কার্যালয়ে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।

ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুলিশ কমিশনার বলেন, নগরবাসীর দোর গোড়ায় পুলিশের সেবাকে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে পুলিশকে সরাসরি থানা থেকে তৃণমূলে বিস্তৃতকরণ, ওয়ার্ড ওয়ার্ডে নিবিড় পুলিশিং, থানায় মোতায়েনকৃত জনবলের সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়বে।

একইসঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে জনসম্পৃক্তির মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, অগ্রিম গোপন সংবাদ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। মূলত জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করার জন্য বিট পুলিশিং।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় শুরু হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম, এর মধ্য দিয়ে আরপিএমপির ৬টি থানায় ৫৫টি বিটের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

তিনি আরো জানান, বিট কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে বিট এলাকায় গমন এবং নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

বিট কার্যালয়ে আগত সেবা গ্রহণকারীদের বক্তব্য শুনে সেখানে প্রয়োজনীয় পুলিশিং সেবা দিবেন। এছাড়াও দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বিট কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন খোলা থাকবে। যাতে মানুষ ২৪ ঘণ্টা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ, ৫ নম্বর বিট অফিসার এসআই ইজার আলী, কমিউনিটি পুলিশিং রংপুর মহানগর মেট্রোপলিটন কমিটির কোতয়ালী থানার সদস্য সচিব আব্দুল কাদের দিদার প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ৫ নম্বর বিট পুলিশিং এর সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম।

এদিকে আরপিএমপির মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, আরপিএমপির ৬টি থানাকে বিট পুলিশিং এর জন্য ৫৫টি বিটে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতয়ালী থানায় ১৭টি, তাজহাট, মাহিগঞ্জ , হারাগাছ, হাজিরহাট থানায় ৮টি করে এবং পরশুরাম থানায় ৬টি বিট দেয়া হয়েছে।

প্রতিটি বিটে একজন এসআই বিট ইনচার্জ, একজন এএসআই সহকারি বিট ইনচার্জ এবজন কনেস্টবল নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জগণ তার এলাকার বিটের কো-অর্ডিনেটর, থানার ইন্সপেক্টর(অপারেশন/তদন্ত) গণ সহকারি কো-অর্ডিনেটর, জোনাল সহকারী পুলিশ কমিশনার/অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনরা (অপরাধ), বিটের তদারকি কর্মকর্তা এবং উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) বিটের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর