উইঘুরদের মসজিদ শৌচাগার বানিয়েছে চীন, গণহত্যা চলছে

উইঘুরদের মসজিদ শৌচাগার বানিয়েছে চীন, গণহত্যা চলছে

অনলাইন ডেস্ক

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযোগ করেছেন বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের সভাপতি দোলকান ইসা। চীন সরকার উইঘুরদের ওপর ব্যাপকহারে নিপীড়ন চালাচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

দোলকান ইসা বলেন, এক সময় জিনজিয়াং প্রদেশে বেশিরভাগ নাগরিকই ছিল উইঘুর সম্প্রদায়ের। কিন্তু চীন সরকারের নিপীড়নের কারণে জিনজিয়াংয়ে এখন ৪০ শতাংশ নাগরিকই চীনা।

তিনি আরো বলেন, উইঘুরদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে দেওয়া হয় না। এমনকি তাদেরকে রমযান মাসে রোযা রাখতেও দেওয়া হয় না। বেশিরভাগ উইঘুরদের পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, উইঘুরদের সন্তানদের তাদের পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।

ইসলাম থেকে শিশুদের দূরে সরিয়ে রাখতেই এটা করা হচ্ছে।

দোলকান ইসা বলেন, উইঘুরদের মসজিদগুলো প্রস্রাব করার জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাদের ধর্মীয় পরিচয় ও রীতি পালনে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। চীন সরকার পরিকল্পিতভাবে উইঘুরদের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, বিভিন্নভাবে মুসলিম নিধনের কাজ করছে, সেটা গণহত্যার সামিল।

তিনি আরো বলেন, উইঘুরদের জন্য চীন সরকারের পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। তারা মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদের নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন আটককেন্দ্রে ৩০ লাখের বেশি উইঘুর আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে। উইঘুরদের গণহত্যার মতো অপরাধ করছে চীন।

দোলকান ইসা বলেন, বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও চীন বিষয়টি প্রভাবিত করছে। জিনজিয়াংয়ে পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের দোহাই দিয়ে তারা এটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। আর জাতিসংঘের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা দেশ চীন।  

সে কারণে নানাভাবে জাতিসংঘে চীনের প্রভাব রয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও সেটি সুকৌশলে চীন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : সিএনএননিউজ১৮

 

#UighursChinaProtest - We are going to raise this matter in the UN: Dolkun Isa (President, World Uyghur Congress) tells @AnchorAnandN on #TheRightStand pic.twitter.com/9wnz4IiVln

— CNNNews18 (@CNNnews18) August 31, 2020

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল