ফয়জুলের বাবা-মা আটক

হামলাকারী যুবক ফয়জুর।

ফয়জুলের বাবা-মা আটক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলায় জড়িত ফয়জুলের বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাতে নগরীর পনিটুলা এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফয়জুলের বাবা হাফিজ আতিকুল ইসলাম ও মা মিনারা বেগমকে আটক করা হয়। এর আগে হামলাকারী ফয়জুল হাসানের মামা ও চাচাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক অন্যরা হলেন- হামলাকারীর চাচা আব্দুল কাহার লুলই, মামা ফজলুর রহমান, ফয়জুলের সাবেক কর্মস্থল নগরীর জল্লারপাড়ের রাজা ম্যানশনের কম্পিউটার দোকান মালিক মঈন উদ্দিন।

সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আটকের সত্যতা স্বীকার করেন।
 
সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য গিয়াস উদ্দিন পুলিশের বরাত দিয়ে বলেন, হামলাকারী ফয়জুলের বাবা-মাকে নগরীর মদিনা মার্কেট পনিটুলা এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ। তাদের ধরতে প্রথমে দিরাই উপজেলার জগদল উশনপুরে হামলাকারীর বোনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানকার তথ্য মতে তাদের পনিটুলা থেকে আটক করা হয়।

সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস শহিদ বলেন, হামলাকারী ফয়জুলের বাবা-মা আটক হয়েছেন জানতে পেরেছেন। দিরাই উপজেলার জগদল ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশে সিলেটে আসেন। তার আগেই পুলিশের একটি টিম তাদের আটক করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, আটকদের রাত পৌনে একটা পর্যন্ত থানায় আনা হয়নি। মামলায় শুধু হামলাকারী ফয়জুল রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। বাকীদের মধ্যে মঈনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে শুনেছেন। এবং ফয়জুলের চাচা ও মামাকে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও পুলিশের উপস্থিতিতে জাফর ইকবালের ওপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারী। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই হামলার পরপর জাফর ইকবালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। এরপর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট থেকে ঢাকারসিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে হামলার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীকে ধরে ফেলে। এরপর পিটুনি দিয়ে ওই তরুণকে ধরে নেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এনে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত ফয়জুর সিলেট সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। হামলার ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে ফয়জুরের মামা ফজলুরকে আটক করে র‌্যাব। রোববার ভোরে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কলিয়ার কাঁপন ইউনিয়নের জগদল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফয়জুরের চাচা আবদুল কাহারকে (৫০) আটক করে র‌্যাব।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর