সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সৌন্দর্য বর্ধনকারী সবুজ বেষ্টনী ঝাঁউ বাগান হুমকির মুখে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙছে বালিয়াড়ি ও সড়ক। গেল কয়েক বছরে প্রায় ৩ শ হেক্টর বাগানের ঝাউ গাছ বিলিন হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সৈকতের বালিয়াড়িতে শেকড়যুক্ত গাছ রোপণের দাবি স্থানীয়দের।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বর্ষা মৌসুমে এই সমুদ্রের ভয়াবহ বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে উপকূলে। এতে ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে বালিয়াড়ি, উপচে পড়ছে সৈকতের ঝাঁউগাছ ও ভেঙে তছনছ হচ্ছে সৈকত সড়ক।
সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় গেল কয়েক বছর ধরে প্রতি বর্ষা মৌসুমে সৈকতের বালিয়াড়ী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষাকারী এই সবুজ বেষ্টনী রক্ষায় এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী।
ভাঙ্গন রোধের পাশাপাশি আরো ঝাউ বাগান সৃজনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২-৭৩ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে প্রায় ৫শ' হেক্টর জায়গায় লাগানো হয় সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি ঝাউগাছ। পরে বাগানের আয়তন আরো বাড়ে। গেল ১০ বছরে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়েছে লক্ষাধিক গাছ।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল