কেন হয় এসি দুর্ঘটনা? এড়াতে যা করবেন

কেন হয় এসি দুর্ঘটনা? এড়াতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

গরমে প্রশান্তি পেতে চাই এসি বা এয়ারকন্ডিশনার। এসির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যে এসির বিকল্প নেই। কিন্তু এই এসি থেকেই যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এসির বিস্ফোরণ থেকে বড় ক্ষতিও হতে পারে। কেন হয় এসির বিস্ফোরণ এই বিষয়টি নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।

আসুন জেনেই এসি বিস্ফোরণের কিছু কারণ:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অলোক কুমার মজুমদার বলেন, এসি দুর্ঘটনার পেছনে তিন চারটি কারণ রয়েছে।

অনেকে রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার করেন না।

ফলে এসিটি অনেকক্ষণ ধরে চলতে হয়, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। নিম্নমানের এসি কিনলে সেগুলোর ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ক্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে।

তিনি বলেন, এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ক্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। '

অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে বলে তিনি জানান।

এসি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ:

১. অনেক পুরনো বা নিম্নমানের এসির ব্যবহার।

২. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক ক্ষমতার এসি ব্যবহার না করা।

৩.কম্প্রেসরের ভেতরে ময়লা আটকে জ্যাম তৈরি হওয়া।

৪. এসি থেকে গ্যাস লিক হওয়া এবং সেটি রুমে বা এসির ভেতরে জমে থাকা।

৫.দীর্ঘক্ষণ টানা এসি চালানো, যার ফলে এসির প্রেশার বেড়ে যায় এবং সেটিকে গরম করে তোলে।

৬.এসির ভেতরের বা বাইরের বৈদ্যুতিক তার নড়বড়ে হয়ে থাকা, যা শর্টসার্কিটের তৈরি করতে পারে।

৭. বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজের কারণে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ওপর চাপ তৈরি হওয়া।

৮. অনেকদিন এসির সার্ভিসিং না করানো।

৯.বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময়ে এসি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ভালো আর্থিং ব্যবস্থা না থাকলে এটিও এসির দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত:

১. পেশাদারদের মাধ্যমে নিয়মিত সার্ভিসিং করানো।

২. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক মাত্রার এসি নির্ধারণ।

৩. নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি কেনা।

৪. দীর্ঘসময় একটানা এসি না চালিয়ে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া।

৫. বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা।

৬. হাই ভোল্টেজ এড়াতে বাড়িতে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

৭.বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় এসির ব্যবহার বন্ধ রাখা। এছাড়া বাড়ির ছাড়ে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।   সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক